Skip to content

শীর্ষেন্দু-০৬

তিতু একটি ফড়িং ধরে দু’হাতে তার পাখনা ছিড়ছে। তার মুখ নির্বিকার। এই সাংঘাতিক দৃশ্য আমি এক আশ্চর্য প্রকাণ্ড জানালায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম।। তিতু বাগানে, খেজুরগাছের মতো, কিন্তু আরো সুন্দর এক গাছের তলায় দাঁড়িয়ে। যে ফড়িঙটার পাখনা সে ছিড়ছে সেটা একটা সুন্দর লাল ফড়িং। আমি তার মুখের নিষ্ঠুরতা দেখে চীৎকার করে বলছি- তিতু-তিতু-তোর মায়া-দয়া নেই! ও তুই কি করছিস!

তিতু নিষ্ঠুর চোখে আমার দিকে তাকাল। তারপর হঠাৎ পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুঠো বের করে আনল। মুঠো খুলতেই দেখলাম, এক মুঠো মরা মশা, মথ, একটা বোলতা। মুঠোর সেই পোকাদের বাগানের মাটিতে ছড়িয়ে দিয়ে হি হি করে হাসতে হাসতে লাগল তিতু, চেঁচিয়ে বলল-বাবা, পোকাদের গাছ হবে। দেখ।

একটা গাড় লাল আলো এসে পড়ল বাগানে। সূর্যের আলো অত লাল হয় জানতাম না।। সেই লাল আলো এসে পড়তেই দেখি ঘাসের ফল থেকে বীজের মত জন্ম নিচ্ছে পোকামাকড়, বোলতা। উড়ে আসছে- উড়ে আসছে- আমাদের ঘরের দিকে।

-ফেরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *