পিছনে গভীর শালবন। বর্ষা পেয়ে আগাছা জন্মেছে খুব। সেদিকে চেয়ে বললেন- যাবে ওখানে?
ময়না বলল- তুমি গেলে যাবো না কেন?
-এসো।
বলে দিগিন হাঁটতে লাগলেন। শালবন খুবই গভীর। জ্যোৎস্না পৌছায় নি ভিতরে। স্বপ্নময় অন্ধকার। জোনাকি জ্বলছে, ঝিঁঝিঁ ডাকছে। পেচার শব্দ আসছে। পাখির ডানার শব্দ।
দিগিন জঙ্গলের মধ্যে ঢুকতে লাগলেন।। পিছনে ময়না। ময়না পিছন থেকে দিগিনের একটা হাত ধরে বলল- আর যেও না।
-কেন?
-সাপখোপ আছে।
দিগিন হাত ছাড়িয়ে নিলেন। বললেন- তুমি কপিলকে ডাকো, দরজা খুলে দেবে। ঘরে বসে থাকো গিয়ে। আমি আসছি।
ময়না অসহায়ের মত বলল- যদি না আসো?
দিগিন ভ্রু তুলে বললেন- আসব না কেন?
ময়না লজ্জা পেয়ে বলল- তুমি তো অদ্ভুত। তোমার সম্বন্ধে কোনো কথাই নিশ্চয় করে বলা যায় না।
-ও। বলে দিগিন ভাবলেন, বলবেন, যদি না আসি তবে কপিল তোমাকে পৌছে দিবে।।
ময়না দ্বিধাগ্রস্তের মতো শালবনের প্রান্তে দাঁড়িয়ে রইল। ফিরে গেল না। এলও না সঙ্গে।
মানুষ ঐরকম। অনেকদূর পর্যন্ত সঙ্গে আসে, কিন্তু সবটা পথ আসে না।
-ভুল সত্য